উবুন্টু এর বৈশিষ্ট্য

উবুন্টুতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয় এর ব্যবহারযোগ্যতার উপর। ইউবিকুইটি নামে উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেমটি ইনস্টল করতে একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এটি লাইভ সিডি এনভাইরনমেন্ট থেকে কোন রিস্টার্ট করা ছাড়াই সম্পূর্ণ ইনস্টলেশন সম্পন্ন করে। অনেক বেশি মানুষের কাছাকাছি পৌছাতে উবুন্টুতে accessibility এবং internationalization এর কাজগুলিও করা হয় গুরুত্বের সাথে করা হয়। উবুন্টু ৫.০৪ সংস্করণ থেকে ডিফল্ট ক্যারেক্টার এনকোডিং হিসাবে ইউনিকোড ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। এর ফলে উবুন্টু রোমান নয় এমন স্ক্রিপ্ট সমূহে ব্যবহার সহজ হয়ে যায়। প্রশাসনিক কাজসমূহ করার জন্য এখানে sudo নামে একটি টুল ব্যবহার করা হয়। এটি নিরাপত্তা বৈশিষ্টসমূহ অক্ষুন্ন রেখেই সাধারণ ব্যবহারকরীদের সাময়িকভাবে প্রশাসনিক কাজসমূহ করার সুযোগ করে দেয়। এখানে রুট অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করা থাকে এবং অভিজ্ঞ বা দক্ষ নয় এমন ব্যবহারকারীরা যেন সিস্টেমের অনাকাঙ্খিত বা নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোন ক্ষতি করতে না পারে সেই ব্যবস্থা থাকে। পলিসিকীট নামে একটি ব্যবস্থা সিস্টেমে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়, এটি সিস্টেমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ডেক্সটপ ব্যবহারকারীদের ন্যূনতম প্রশাসনিক কাজ করার সুযোগ দেয়।
উবুন্টু এর বৈশিষ্ট্য

প্রাথমিক ভাবেই উবুন্টুর সাথে বেশ কিছু সংখ্যক প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার দেয়া থাকে। এবং অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার সাথে সাথেই এই সফটওয়্যারসমূহ ইনস্টল হয়ে যায়। এই তালিকায় রয়েছে ওপেন অফিস.অর্গ, ফায়ারফক্স, এমপ্যাথি (৯.১০ এর আগের সংস্করণসমূহে এটির পরিবর্তে পিজিন যুক্ত থাকত), ট্রান্সমিশন, গিম্প(১০.০৪ এর আগের সংস্করণসমূহে ডিফল্ট ছিল), সেই সাথে কিছু ছোট আকারের কিছু খেলার সফটওয়্যার যেমন সুডুকু, দাবা ইত্যাদি। এছাড়া যেসকল সফটওয়্যার ডিফল্টভাবে ইনস্টল করা থাকে না সেগুলি উবুন্টু সফটওয়্যার সেন্টার অথবা সিন্যাপটিক প্যাকেজ ম্যানেজার ব্যবহার করে ইনস্টল করা যাবে। উবুন্টুতে ফায়ারওয়ালের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক পোর্ট সাথে যুক্ত অংশসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ব্যবহারকারীরা Gufw নামের সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে পছন্দমত নেটওয়ার্ক ফায়ারওয়াল কনফিগার করা যাবে।[৩২] জিনোম ডিফল্টভাবে ৪৬টি ভাষা সমর্থন করে।[৩৩] ওয়াইন নামের একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য ডিজাইন করা অনেক সফটওয়্যার যেমন মাইক্রোসফট অফিস উবুন্টুতে ব্যবহার করা যাবে। ওয়াই অথবা ভার্চুয়াল বক্স অথবা ভিএমওয়্যারের মত ভার্চুয়াল মেশিনের মাধ্যমে এই সফটওয়্যারসমূহ ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহারযোগ্যতার প্রতি উবুন্টু-র মনোযোগের প্রতিফলন ঘটেছে sudo টুলটির ব্যাপক ব্যবহারে; এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা superuser অ্যাকাউন্ট এ লগ-ইন না করেই নিরাপদে প্রশাসনিক কাজ করতে পারেন। উবুন্টু চালাতে ২৫৬ মেগাবাইট র‌্যাম প্রয়োজন; আর হার্ডডিস্কে এটি ইনস্টল করতে ৪ গিগাবাইট জায়গার প্রয়োজন। সংগ্রহ - উকিপিডিয়া

Comments

Popular posts from this blog

কে জিওগ্রাফি (KGeography) কী?

লিব্রে অফিস রাইটার টিউটোরিয়াল

ক্যাল্ক [Calc]-এ ডেটার ব্যবহার